অপবিত্র অবস্থায় কুর’আন পাঠ করার হুকুমঃ
কোন কারনে গোসল ফরজ হলে দোয়া , কালিমা , দরুদ শরীফ পাঠ করা যাবে। তবে কুরআন পাঠ করা যাবে কি যাবে না এ ব্যাপারে দুইটি মত পাওয়া যায়। তন্মধ্যে অধিক গ্রহণযোগ্য মত তুলে ধরলাম। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন হলো মহান আল্লাহর বাণী। যা সর্বোচ্চ পবিত্র ও মর্যাদাসম্পন্ন। তাই এ পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে কোরআন স্পর্শ করার জন্য ও তা পাঠ করার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে। যে মুসলমান কোরআন স্পর্শ করতে ও তা পাঠ করতে ইচ্ছুক তাকে অবশ্যই দৈহিকভাবে পবিত্র হতে হবে। কোরআন পাঠ প্রসঙ্গে মহানবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ঋতুবতী নারী ও জুনুব ব্যক্তি (যার ওপর গোসল ফরজ) কোরআনের কিছুই পাঠ করবে না। (সুনানে তিরমিযী: ১৩১)। এ অনুচ্ছেদে আলী (রা.) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি ইসমাঈল ইবনু আইয়াশ একটি মাত্র সনদ সূত্রেই বর্ণনা করেছেন যে, নাপাক ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্তা নারী কুরআন তিলাওয়াত করবে না। এ সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে আমরা উপরোক্ত হাদীস জানতে পারিনি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুনুব অবস্থায় (গোসল ফরজ অবস্থা