জাহান্নামের ভয়ংকর উপত্যকা।

গাইয়ুন ! 

আপনি কি জানেন গাইয়ুন কি ?

ইবনে মাসুদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন গাইয়ুন হল জাহান্নামের এক অত্যন্ত গভীর ও ভয়ংকর  উপত্যকার নাম । কেন এই উপত্যকা এত ভয়ংকর এত জঘন্য ? 

জাহান্নামে মানুষের আকার হবে অনেক বড় । বসা অবস্থায় এক জাহান্নামীর আকার হবে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ! তার চামড়া এবং মাংস হবে অত্যন্ত পুরু । তার দেহে থাকবে অনেক মাংস । জাহান্নামের আগুনে এই মাংস পুড়ে যখন হাড় বেরিয়ে যাবে তখন তা আবার মাংস দিয়ে পূর্ণ করে দেওয়া হবে । দুনিয়াতে আমরা দেখছি মানুষ আগুনে পুড়ে গেলে সেখানে পুঁজ জমে। 

জাহান্নামের মানুষ বারবার আগুনে পুড়বে আর বারবার পুঁজ জমা হবে । সেই পুঁজ কোথায় গিয়ে জমা হবে জানেন ? তা জমা হবে জাহান্নামের গাইয়ুন উপত্যকায় । কারা থাকবে গাইয়ুনে ? যারা সময় মতো, সঠিকভাবে, নিখুত ভাবে সালাত আদায় করেনি ! 

.

সাকার !

আপনি কি জানেন সাকার কি ?

সাকার হল জাহান্নামের আরেকটি জঘন্য উপত্যকার নাম ।

সাকার হলো তাদের অবস্থান যারা দুনিয়াতে সালাত আদায় করবে না ।

সাকারবাসীদের সম্পর্কে আল্লাহ সুবাহানুওতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, 

'আমি দাখিল করব সাকারে । তুমি কি জানো সে সাকার কি ? যা জীবীতও রাখবে না আবার একেবারে মৃত করেও ছাড়বে না । গায়ের চামড়া ঝলসিয়ে দেবে । সেখানে নিয়োজিত আছে ১৯ জন ফেরেস্তা ।‌' (সূরা মুদ্দাসসির : ২৬-৩০)

.

ওয়াইল !

আপনি কি জানেন ওয়াইল কি ?

ওয়াল জাহান্নামের আরেকটি ভয়ানক উপত্যকা । 

'অতএব ওয়াইল সেসব সালাত আদায়কারীর জন্য যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বেখবর । (সূরা মাউন : ০৪-০৫)

সাহাবীদের মতে ওয়াইল এমন একটি জায়গা যেখানে জাহান্নামীদের সাপ আর জীবজন্তুরা খেয়ে ফেলবে ।  তারপর তাদের দেহ পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসবে । পুনরায় সাপ আর জীবজন্তুরা তাদেরকে খেয়ে ফেলবে । পুনরায় দেহ ফিরে পাবে । এ চলতেই থাকবে । 

ওয়াইল সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাওতায়ালা আরও বলেছেন,

যখন তাদেরকে বলা হবে নত হও তখন তারা নত হয় না । সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য ওয়াইল হবে । 

(মুরসালাত : ৪৮-৪৯)

.

আর যারা ছাড়া সালাত আদায় করে না, কারা হবে আখেরাতে তার বন্ধু ?

'আর কেয়ামতের দিন সে ফেরাউন, হামান, কারুণ আর উবাই ইবন খালফদের সঙ্গে থাকবে । (ইবনে হিব্বান :১৪৬৭)


আল্লাহ পাক আমাদেরকে নিয়মিত সালাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


Comments

Popular posts from this blog

প্রত্যেক মানুষ তার নিজ নিজ জায়গায় দায়িত্বশীল।

সবাই আছে ফান্দে

অপবিত্র অবস্থায় কুর’আন পাঠ করার হুকুমঃ